ছাত্রীর মামলায় প্রধান শিক্ষক কারাগারে
![](http://cyberattackers-bd.com/wp-content/uploads/2023/07/image-675758-1684343392.jpg)
নরসিংদীর বেলাবোতে প্রাক্তন এক ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে অশালীন আচরণ ও শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে বুধবার বিকালে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে।
অভিযুক্ত মুক্তার হোসেন আমলাব নারায়ণপুর মরজাল (এএনএম) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
ছাত্রীর করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল সকালে প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেন প্রাক্তন ছাত্রীর মোবাইল ফোনে কল করে তার বাসায় খাওয়ার জন্য দাওয়াত দেন। দাওয়াত খেতে দুপুরে ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের বাসায় যান। সেখানে যাওয়ার পর দেখা যায় বাসাটিতে আর কেউ নেই। এ সময় প্রধান শিক্ষক তাকে একা পেয়ে বিভিন্ন অশালীন আচরণসহ শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন এবং নানা অসঙ্গতিপূর্ণ ইঙ্গিত প্রদান করেন। এসব কথোপকথন ওই ছাত্রী তার নিজের মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে রাখেন। পরে কৌশলে ছাত্রী ওই বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর এই অডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
অডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে জেলা জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। অডিও রেকর্ডকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুসে উঠেন আমলাব নারায়ণপুর মরজাল (এএনএম) উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেনের বিচার ও স্কুল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেয়।
ওই ঘটনার পর পরই প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেলাবো থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে নরসিংদী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
অন্যদিকে অডিওটির ঘটনাস্থল নরসিংদী শহর হওয়ায় ওই শিক্ষককে নরসিংদী মডেল থানায় পাঠায় বেলাবো থানা পুলিশ। এরপর ছাত্রী তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে প্রধান শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।
নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, একজন ছাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেখান থেকে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।