Blogging

সাঈদীর জানাজার সময় ও স্থান

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নামাজে জানাজা মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার দিবাগতরাতে দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল কালবেলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণকে নামাজে জানাজা শরীক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এর আগে সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

জানাজার নামাজের বিষয়ে সাঈদীর পরিবারের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, সাঈদীর মেজ ছেলে শামীম সাঈদী ব্যক্তিগত সফরে আমেরিকা আছেন। ইতোমধ্যে রওয়ানা হয়েছেন।

অপরদিকে দাফনের বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা জনান, আমরা ডেথ সার্টিফেকট হাতে পেয়েছি। কারা কর্তৃপক্ষ মরদেহ হস্তান্তর করলে আমরা গ্রহণ করে দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব। তবে এখন পর্যন্ত পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পিরোজপুর শহরে ‌‘আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন’ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে ফাউন্ডেশনের মসজিদের দক্ষিণ পাশে সাঈদীর বড় ছেলে মরহুম মাওলানা রফিক সাঈদীর কবরের পাশেই দাফন করা হবে।

এর আগে রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কারাগারের ভেতরে বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে রাতেই তাকে জরুরি অবস্থায় ঢাকায় হস্তান্তর করা হয়।

কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ বন্দি ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় রোববার বিকেল ৫টার দিকে তিনি বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।

পরে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে কারাগারের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন সাঈদী। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button