Blogging

উত্তরায় শতাধিক নেতাকর্মী আহতের দাবি গাজীপুর বিএনপির

শনিবার উত্তরায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে গাজীপুর বিএনপি। আহতদের অধিকাংশই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন। পুলিশ এ কর্মসূচি থেকে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকারসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শওকত হোসেন সরকার ছাড়াও মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন নাছির, কাশিমপুর থানা যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম শহিন, টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বেনজির রহমান পিন্টু, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন স্বাধীন, কাশিমপুর থানা যুবদল নেতা মো. মাসুদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোহাম্মদ আদনাল খান, সদর মেট্রো থানা ছাত্রদল নেতা ইসমাইল হোসেন ও আবু সাঈদ।

বিএনপি নেতারা জানান, পুলিশ আওয়ামী লীগকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস, শটগানের গুলি এবং আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সরকারি দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাঁশের লাঠি, লগি, চাপাতি, ছোরাসহ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।

এতে গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ সাধারণ পথচারী ও বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। অনেক নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।

তাদের দাবি হাসপাতালে আনা বেশির ভাগই চাপাতি ও বিভিন্ন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তারা গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দক্ষিণখান থানা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম সুরুজ, উত্তরখান মধ্যপাড়া ইউনিট বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবেদ আলীকে (৬৫), রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নিলুফা ইয়াসমিন (৪১), গাজীপুর মহানগর গাছা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল নেতা সবুজ গাজী (৩৮) ও গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সোহেল কাজীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে।

বিএনপি নেতারা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা উত্তরা রাজউক কলেজের বিপরীত দিকে বিএনএস সেন্টারের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশ পর পর তিনটি সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন সমূহের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ধাওয়া দেয়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে বাঁশের লগি, লাঠি, রড, চাপাতি, ছোরাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ছিলেন।

এ সংঘর্ষে আহত পথচারী সাদ আহমেদ জানান, তিনি উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। স্কুলের পাশে একটি কোচিং সেন্টার থেকে বাসায় ফেরার পথে আওয়ামী লীগের ধাওয়ার মুখে পড়েন। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই বাঁশ দিয়ে আঘাত করে তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তার মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক হাবিবুল্লাহসহ অনেকেই হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button