BangladeshPolitical

রিজার্ভের গ্রস-নিট হিসাবে ডলারের গড়মিল

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে ২ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলারের গড়মিল হিসাব দেওয়া হয়েছে। ২৬ জুলাইয়ের লেনদেনের হিসাব শনিবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে তুলে ধরা হয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ১৯ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই এক সপ্তাহ সময়ে নিট রিজার্ভ খরচ হয়েছে ১৪০ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলার বা ১৪ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। আর গ্রস রিজার্ভের খরচ দেখানো হয়েছে ১৬৫ দশমিক ১৬ মিলিয়ন ডলার বা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৬০ হাজার ডলার।বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনে প্রতিদিনই ডলার বিক্রি ও ক্রয় করে থাকে। সে হিসাবে প্রতি সপ্তাহে ডলারের নতুন পরিমাণ তৈরি হয়।

ডলার কেনা-বেচার পর সপ্তাহান্তে একই পরিমাণ কমবে বা বাড়বে। কিন্তু গ্রস রিজার্ভে বেশি খরচ দেখানো হয়েছে, নিট রিজার্ভে কম খরচ দেখানো হয়েছে। এর ফলে সাপ্তাহিক ‍নির্বাচিত সূচকের নিট রিজার্ভে প্রায় আড়াই কোটি ডলার বেশি দেখানো হয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের গ্রস হলো মোট রিজার্ভ থেকে গঠন করা বিভিন্ন তহবিলের অর্থসহ দেখানো হিসাব, যা এতদিন বাংলাদেশ ব্যাংক দেখাত। অন্যদিকে নিট রিজার্ভ হলো গঠন করা বিভিন্ন তহবিলের অর্থ বাদ দেওয়া হিসাব। আইএমএফ-এর নির্দেশনা অনুযায়ী নিট রিজার্ভই প্রকৃত রিজার্ভ। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে কোনো তহবিল গঠন করা হলে তা রিজার্ভের হিসাব থেকে বাদ দিতে হবে।

আইএমএফ-এর কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার শর্ত হিসাবে চলতি জুলাই মাস থেকে প্রকৃত রিজার্ভের পাশাপাশি গ্রস রিজার্ভ দেখানো হচ্ছে। পাশাপাশি গ্রস হিসাবও দেখানো হয়।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাস জুলাইয়ের ২৬ তারিখে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ৬৮৫ বিলিয়ন ডলার। এক সপ্তাহ আগে ১৯ জুলাইয়ে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৯ দশমিক ৮৫০ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে এক সপ্তাহে খরচ হয়েছে ১৬৫ দশমিক ১৬ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে নিট রিজার্ভ খরচ দেখানো হয়েছে ১৪০ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে নিট রিজার্ভের পরিমাণ ২৩ দশমিক ৩০৯ বিলিয়ন ডলার। এক সপ্তাহ আগে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৩ দশমিক ৪৫০ বিলিয়ন ডলার।

এখানে নিট রিজার্ভের চেয়ে গ্রস রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন ডলার বা ২ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার বেশি খরচ দেখানো হয়েছে।

গ্রস রিজার্ভ এক সপ্তাহে ২ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার বেশি খরচ হওয়ার জন্য আবারও ভিন্ন তহবিলে খরচ হয়েছে কি না, এমনটা মানতে নারাজ বাংলাদেশ ব্যাংক।

  1. এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবা উল হক বাংলানিউজকে বলেন, এটা হিসাবের ধরনগত গড়মিল; ভুল নয়। এটা নির্ভর করে ‘ন্যাচার অব ট্রানজেকশনের‘ ওপর। কোনো কোনো ট্রানজেশন বা গ্যারান্টি হয়তো গ্রসের ক্ষেত্রে দেখানো হয়েছে, কিন্তু নিটের ক্ষেত্রে দেখানো হয়নি। আবার পরের সপ্তাহে এটা দেখানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৩

জেডএ/এমজেএফ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button