BangladeshNational

জঙ্গি নাটক সাজিয়ে বিশ্বকে দেখাতে চায় সরকার: মির্জা ফখরুল

পশ্চিমা বিশ্ব ও ভারতকে দেখাতেই সরকার দেশে ‘জঙ্গি নাটক’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সম্প্রতি জঙ্গি আটক প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, গহীন জঙ্গলের একটি পাড়া থেকে জঙ্গি বলে কয়েকজন সাধারণ মানুষকে তুলে আনা হয়েছে। এটা তাদের (সরকার) প্রয়োজন আছে।

কেননা, তারা দেখাতে চায় বাংলাদেশে জঙ্গি আছে, জঙ্গিবাদ আছে, এটা দমন করার জন্য শুধু তাদেরই দরকার। এটাই হচ্ছে তাদের মূল উদ্দেশ্য। মঙ্গলবার রাজধানীর কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সাধারণ মানুষ জানে জঙ্গি হলো-আওয়ামী লীগ, জঙ্গি হলো-এ সরকার। কারণ, তারা দেশের সাধারণ মানুষের ওপর সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ চাপিয়ে দিয়ে তাদের হত্যা করছে, তাদের অধিকার হরণ করছে। জঙ্গিবাদ এটাই। এ কথাগুলো অস্বীকার করার উপায় নেই। তিনি বলেন, এটা সত্য-এদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। এটা তো কোনো পাপ নয়, অপরাধ নয়। যারা ধর্ম পালন করেন তাদের জঙ্গি বানিয়ে এ সরকার ফায়দা হাসিল করতে চায়।

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তারেক রহমানকে ফাঁসানো হয়েছে। ১৪৫ দিন রিমান্ডে নিয়ে তাড়াহুড়ো করে রায় দিয়ে মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। শেখ হাসিনা নিজেও এ মামলায় সাক্ষী ছিলেন, তিনি যাননি। মুফতি হান্নান ফাঁসির আগে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তা প্রকাশ হওয়ার আগেই তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। অথচ, বিএনপির শাসনামলে মুফতি হান্নানকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, যিনি জোর করে প্রধানমন্ত্রী হয়ে বসে আছেন তিনি জিয়াউর রহমানের পরিবারকে বলেন খুনি। শহিদ জিয়া এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। খালেদা জিয়া আজীবন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার সন্তান তারেক রহমান আজ গোটা জাতিকে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ সরকারের অধীনে আর নির্বাচন নয়-উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক দল প্রায় একমত হয়েছি-এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। তা হলেই শুধু একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা যাবে।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব এএসএম শামীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির জহির উদ্দিন স্বপন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী নাহিদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, মুজিবুর রহমান, মাওলানা রুহুল আমিন, সেলিম মাস্টার, কামাল উদ্দিন চৌধুরী, কাজী জাফর আহমেদের বড় মেয়ে কাজী জয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button