MusicPolitical

ইসলামী সংগীতের উদীয়মান গীতিকার শাহারুল

ইসলামী সংগীতের উদীয়মান গীতিকার শাহারুল ইসলাম সুজন। গত তিন বছর ধরে ইসলামী সংগীত নিয়ে কাজ করছেন তিনি। এরই মধ্যে পেয়েছেন পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা। খুলনার কয়রা উপজেলার হলুদবুনিয়া গ্রামে ২০০৩ সালের ১৪ জানুয়ারি উদীয়মান এই গীতিকারের জন্ম। তার পিতা আকবর হোসেন ও মাতা শেফালি খাতুন। ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন তিনি। উচ্চমাধ্যমিকে এসে নিয়মিত ছড়া, কবিতা ও সংগীত লিখে সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠেন তিনি।

তার লেখা ইসলামী সংগীতের মধ্যে- মিছে আশা, ক্ষণিকের জীবন, প্রেরণার আলো, বাবা হারানোর বেদনা, সবার প্রিয় মা, শোনো প্রিয় আম্মু, কি হলো মোর দেশটাতে‌, খোকার ইবাদত, লাল সবুজের স্বাধীনতা, বিজয়ীর মান, আমি বাংলার সন্তান, পথশিশু, এই সমাজের মানুষ, রহমের বৃষ্টি, অনাথ শিশু, মা যে আমার নয়নমণি, বিদায়ের ডাক, এসেছে রমজান, বার্তা নিয়ে সুমহান, বরকতের মাস, ত্যাগের ঈদ, কুরবানী, ঈদ মোবারক অন্যতম।

পড়াশোনার পাশাপাশি বর্তমানে শাহারুল ইসলাম সুজন ইসলামী সংগীত লেখাতেই বেশি সময় দিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই শাহারুলের লেখা বেশকিছু সংগীত প্রকাশ পেয়েছে যেগুলো দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তিনি তার লেখনীর মাধ্যমে আল্লাহ ও রাসুলের ভালোবাসা, প্রতিবাদী, মরমী, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কষ্ট ও অধিকার আদায়ের কথা ফুটিয়ে তুলেছেন।

এ পর্যন্ত তার লেখা ৩১ টি সংগীত প্রকাশ হয়েছে। নাশিদ ব্রান্ডের শিল্পীদের কণ্ঠে গাওয়া এসব গান ইতিমধ্যে অনলাইন ইসলামি সংগীত প্লাটফর্ম কলরব, হ্যাভেন টিউন এ প্রকাশিত হয়ে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কলরব শিল্পীগোষ্ঠী থেকে ‘মিছে আশা’ নামক একটি গজলটি প্রায় পাঁচ মিলিয়ন মানুষ দেখেছেন।

ইসলামী সংগীত নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনায় শাহারুল ইসলাম বলেন, আল্লাহ আমাকে লেখালেখির যে শক্তি দান করেছেন, আমি চাই তার মাধ্যমে আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে। এছাড়া আমার লেখনীর মাধ্যমে সমাজের অসংগতি তুলে ধরতে। আমার লেখা সংগীত যদি শ্রোতাদের মন জয় করতে পারে, মানুষের মাঝে দ্বীনের ভালোবাসা সঞ্চার করতে পারে, মানুষকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শেখায় – সেখানেই আমার স্বার্থকতা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button